হজ মওসুমে লাখো হাজির জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হজ গাইড ও স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ নিজ দেশ ও সৌদি আরবে অবস্থানকারী নাগরিকদের মধ্যে থেকে আনুপাতিক হারে হজ গাইড ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়। কিন্তু বাংলাদেশিদের বেলায় ভিন্নকথা। তবে এবার আসন্ন হজে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎশকদের অগ্রাদিকার দেয়া হবে।
জানা যায়, চলতি বছর আসন্ন হজ মওসুমে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হাজিদের চিকিৎসা সেবায় পাঠানো হজ চিকিৎসক দলে মনোরোগসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অগ্রাধিকার পাবেন। মেডিসিন ও জেনারেল প্র্যাকটিশনারদেরকে বিশেষ করে মনোরোগ, বক্ষব্যাধি, ক্লিনিশিয়ান, ডেন্টাল, নাক-কান ও গলা, ইউরোলজিস্ট, এন্ড্রোক্রাইনোলজিস্ট ও অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞদের মেডিকেল টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজে যারা গমন করেন তাদের বেশিরভাগই অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ও বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধি নিয়ে হজ পালন করতে যান। যাওয়ার আগে মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে গেলেও তারা যে জটিল রোগে ভুগছেন তা গোপন করে যান কিংবা চিকিৎসকরা বয়স্কদের হজ পালনের সুযোগ করে দিতে তথ্য গোপন করেন।
হজ চিকিৎসক দলের প্রধান বলেন, মক্কার বড় বড় হাসপাতালের চিকিৎসকরা এখন আর বাংলাদেশি রোগীদের ভর্তি করতে চান না। মেডিকেল সার্টিফিকেট আর বাস্তবে জটিল শারীরিক অবস্থা দেখে তারা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করেন। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী হজ পালন করেন। এবারও সমসংখ্যক নারী, পুরুষ ও শিশু হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।