কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১ হাজার শ্রমিকের সমান কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১টি লংবুম এস্কাভেটর। এর ফলে উচ্ছেদ অভিযানে এসেছে গতি। দখলমুক্ত হচ্ছে একরের পর একর নদীর জায়গা।
জেলা প্রশাসনের পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চার দিনে উচ্ছেদ হয়েছে ৭ একর জায়গা। অভিযান অব্যাহত রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও।
এ অভিযানে শুরু থেকে উচ্ছেদের আধুনিক সরঞ্জামাদি দিয়ে সহযোগিতা করছে চসিক। চসিকের পরিবহন পুলের দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক বলেন, অভিযানের শুরু থেকে বুলডোজার, বেক হো লোডার, ডাম্প ট্রাক দিয়েছি আমরা। কয়েক দিন আগে আমরা ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি লংবুম এস্কাভেটর অভিযানে পাঠিয়েছি। এটি দূর থেকে নিরাপদে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১ হাজার শ্রমিক স্থাপনা ভাঙার যে কাজ করতো লংবুক এস্কাভেটর সেটি করছে অনায়াসে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, র্যাব, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় কর্ণফুলীর পাড়ে উচ্ছেদের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোট ১৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। এতে দখলমুক্ত করা হয়েছে ৭ একর ভূমি। প্রথম পর্যায়ে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।