নাটোরের উত্তরা গণভবনের চিড়িয়াখানায় শ্যামল-শ্যমা (হরিণ-হরিণী) দম্পতির শাবক শুক্লা মারা গেছে। পরে বিষয়টি গণভবনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হলে তারা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিড়িয়াখানা দেখভাল করার কর্মচারীরা খাঁচার ভিতরে তার পরিচর্যা করতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
জানা যায়, হরিণ শাবকের মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত করার পরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, বুধবার সকালে নাটোরের উত্তরা গণভবনের চিড়িয়াখানায় শ্যামল-শ্যমা (হরিণ-হরিণী) দম্পতির একটি বাচ্চা শাবক জন্ম গ্রহণ করে। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাচ্চা শাবকটির নাম রাখা হয় শুক্লা। প্রথমবারের মতো উত্তরা গণভবণে কোন প্রাণের আগমনে সবাই খুশিতে আনন্দিত ছিল। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জানতে পারেন শুক্লা মারা গেছে। খবর পেয়ে তিনিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলাম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন ও নেজারত শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির মুন্সি। হরিণ শাবকের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম উদ্দিন জানান, হরিণ শাবক শুক্লা জন্মগ্রহন করার পর থেকে তার মা শাবককে তার দুধ খেতে দেয়নি। যার ফলে তাকে বিকল্পভাবে দুধ খাওয়ানো ব্যবস্থা করা হয়। শাবক জন্মের পর মা তাকে কাছে না নেওয়ায় শাবকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তার আসল কারণ জানা যাবে ।