নাটোরের বড়াইগ্রামসহ ৭ উপজেলাতেই অর্থাৎ জেলার সব উপজেলাতেই এসিস্ট্যান্ট কমিশনার-ল্যান্ড (এসিল্যান্ড) পদে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। যার ফলে উপজেলা ভূমি অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি এ সুযোগে উপজেলা ভূমি অফিসসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন ঢিলেঢালা দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে সেবা নিতে আসা জন-সাধারণদের বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। দাপ্তরিক অনেক কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও সদর উপজেলায় বদলিজনিত কারণে এসিল্যান্ড পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। নলডাঙ্গা উপজেলাতে এই পদে এখনও কোন সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের পদায়ন হয়নি।
লালপুরের এসিল্যান্ড সাদিয়া আফরিন মাতৃত্বকালীণ ছুটিতে আছেন। বাকী দুই উপজেলা অর্থাৎ সিংড়া ও বাগাতিপাড়ার এসিল্যান্ড ৫ মাসের বিভাগীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার কারণে সেখানে ওই পদে ইউএনও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
বড়াইগ্রামের ইউএনও মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, দীর্ঘ ৫ মাসের অধিক এসিল্যান্ড পদে কোন কর্মকর্তা না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। গত জাতীয় নির্বাচনের সময় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সহকারী নির্বাচন কমিশনার, সহকারী কমিশনার-ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
কাজের অতিরিক্ত চাপ থাকায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বা ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করাও অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না। অপরদিকে কোন ছুটি ভোগ করার বিন্দু মাত্র সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ এ জেলার সকল উপজেলাতেই কার্যত এসিল্যান্ড পদটি শূন্য রয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, আমি কয়েক মাস ধরে এই জেলায় যোগদান করেছি। বিষয়গুলো আমার জানা রয়েছে। প্রশিক্ষণ ও মাতৃত্বকালীণ ছুটি শেষে সংশ্লিষ্ট তিন জন যোগদান করবেন। এ ক্ষেত্রে বদলিজনিত কারণে শূন্য পদগুলোতে কর্মকর্তা পদায়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আশা করেন, শীঘ্রই এই পদগুলো পূরণ হবে।