চার দিনের সফরে ভারতে অবস্থান করছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে বুধবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠকে যোগ দিতেই মূলত তার এ সফর। জেসিসি’র বৈঠকে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ও ভারতের পক্ষে দেশটির পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নেতৃত্ব দেবেন। আগামীকাল জসিসি’র পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চার দিনের এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও ভারতের সাবেক প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই সফরে ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ও ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং ভারতের প্রাসর ভারতী ও উভয় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যোগাযোগ-কানেকটিভিটি, নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হবে।
ভারত সফর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা করতে চাই। কারণ, এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেতে পারে। ইতোমধ্যে আমরা সমুদ্র এবং স্থল সীমানাসহ অনেক ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছি। অন্যান্য বিষয়ও সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে বলেন আশা করি।
এদিকে চলতি শুষ্ক মৌশুমে বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে পানির তীব্র সঙ্কট চললেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের আসন্ন ভারত সফরে ইস্যুটি অগ্রাধিকারে নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর দিল্লিতে প্রথম সফরটিতে তিনি সৌর্হার্দ্য ও সম্প্রীতির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট কোনো ইস্যুর ওপর আলোকপাত করতে চান না। সর্বশেষ জেসিসি চতুর্থ বৈঠকটি ২০১৭ সালের ২২-২৩ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।