নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ বলেছেন, নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে নদী তীর চিহ্নিত করে সেখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও বনায়ন করা হবে।
সচিব আজ ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট ও ইসলামবাগ এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
বিআইডব্লিউটিএ আজ কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট ও ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড়াই শতাধিক পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চারতলা ভবন তিনটি, তিনতলা ভবন দু’টি, দোতলা ভবন পাঁচটি, একতলা বাড়ি নয়টি, আধাপাকা ঘর ২৫টি এবং টিন ও টং ঘর ২০৮টি।
গতকাল কামরাঙ্গীরচরের নবাবচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’শতাধিক পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি তিন তলা ভবন, দোতলা ভবন পাঁচটি, একতলা ভবন ২৮টি, আধাপাকা ঘর ২২টি এবং টং ঘর ১৫৫টি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ দখলদারদের বিতারিত করার পরিকল্পনা নিয়ে নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ কার্যক্রম ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে বিআইডব্লিউটিএ ২৯-৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছোট বড় ৪৪৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এগুলোর মধ্যে সাত, পাঁচ, তিন ও দোতলা পাকা ভবন, স’মিল, গোডাউন, প্লাস্টিক কারখানা এবং আধাপাকা ভবনও রয়েছে।