Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ সোমবার, মে ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনিয়ম হলে প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ : নূরুল হুদা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:২৬ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:২৬ PM

bdmorning Image Preview


অনিয়ম হলে প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এর সঙ্গে কোনো আপোস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ৫ম দফার উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, যদি কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা মনে করেন, তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। তবে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই। যদি কখনও কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থীর, দলের বা কারও অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী কোনো ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকতার নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে- এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়মের সঙ্গে আপোস করা যাবে না।

তিনি বলেন, মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেকে বলেন, নির্বাচনের প্রার্থী মেট্রিকের নিচে, তারা দেখতে ভালো না। এটাতো কোনো কথা না। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবে, তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, এজেন্টদের নিয়ে সব সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করবেন। এজেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট থাকা এবং যাওয়ার দায়িত্বতো আপনারা নিতে পারেন না। সে প্রার্থীর বিষয়। প্রার্থীদের উৎসাহিত করবেন, যাতে তারা এজেন্ট দেন। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে, নির্ভয়ে থাকতে পারেন, এটা দেখবেন।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বলেন, প্রয়োজনে নিষ্প্রয়োজনে বলেন যে, আমাদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। আপনারা যদি না পাঠান, তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে বেশি। যে তাদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। এর অনেকগুলোই সঠিক না।

‘অভিযোগগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক না। কিন্তু আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে নির্ভয়ে যেনো তারা কেন্দ্রে যেতে পারেন। এটা আপনাদের জন্য সুবিধা। নির্বাচন পরিচালনায় এজেন্ট অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোনো অনিয়ম যদি হয়, তাহলে তিনি দেখতে পারবেন।’

সিইসি আরও বলেন, বলা হয়ে থাকে যে ভোটারদের ভোট দিতে আসতে দেওয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। কোনো কোনো জায়গায় ভয়ভীতি দেখা হয় বা হতে পারে। সেগুলো ভালোভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এসব জায়গায় বাড়তি সতর্কতায় থাকতে বলবেন। যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে, বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

নির্বাচনের আগে, পরে এবং নির্বাচনের দিন যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও নির্দেশনা দেন সিইসি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview