বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে সন্তোষজনক কর্মদক্ষতা দেখলেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ‘থ্যাংকিউ লেটার’ দিচ্ছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার বা সহকারী শিক্ষা অফিসাররা।
শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তরা জানান, থ্যাংকিউ লেটার বা ধন্যবাদ জ্ঞাপন পত্র দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কয়েকটি বিষয় দেখা হয়। এর মধ্যে যথাসময়ে বিদ্যালয়ে আসা, শিক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করে প্রাণবন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা, পিছিয়ে পড়া ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা এবং বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকার বিষয়গুলো অন্যতম।
আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এসব মানদণ্ড পূরণ করা শিক্ষক পেলেই তাকে থ্যাংকিউ লেটার বা ধন্যবাদ জ্ঞাপন পত্র দেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওমর ফারুক বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাই, না চাইলেও বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষকদের কঠিন কথা বলতে হয়। শিক্ষকরা যখন বিলম্বে বিদ্যালয়ে আসেন তখন হাজিরা খাতায় লেইট মার্ক দিতে হয়। বিদ্যালয় অপরিস্কার দেখলে মৃদু তিরস্কার করতে হয়। অনিয়ম গুরুতর দেখলে বাধ্য হয়ে শোকজ করতে হয়। এসব কারণে অনেক শিক্ষক কষ্ট পান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানুষ গড়ার আসল কারিগর। তাই তাদেরকে শুধু খারাপ কাজের জন্য শাস্তি কিংবা তিরস্কার নয়, ভালো কাজের জন্য প্রেরণা ও পুরস্কারও দেওয়া উচিত। এ চিন্তা থেকেই ভালো কাজের জন্য থ্যাংকিউ লেটার বা ধন্যবাদ জ্ঞাপন পত্র দিয়ে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। কারণ আমরা মনে করি ‘রিকগনিশন ইজ দ্যা গ্রেটেস্ট মোটিভেটর’।
ওমর ফারুক বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রেরণা দিতে এটি প্রাথমিক উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে লেটারের পরিবর্তে শিক্ষকদের সনদ ও অর্থ পুরস্কার দেবো আমরা।’
জানা গেছে, লোহাগাড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে বড়হাতিয়া ইউনিয়নে ৯টি, আমিরাবাদ ইউনিয়নে ১৮টি, পদুয়া ইউনিয়নে ১৪টি, চরম্বা ইউনিয়নে ১২টি, কলাউজান ইউনিয়নে ৯টি, লোহাগাড়া সদরে ১১টি, পুঁটিবিলা ইউনিয়নে ৭টি, চুনতি ইউনিয়নে ১৩টি এবং আধুনগর ইউনিয়নে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ হাজার শিক্ষার্থীকে পড়ান ৭৫০ জন শিক্ষক। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার, শনিবার, রবিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ৫ দিনে ১০ জন শিক্ষককে এ ধন্যবাদ পত্র দেওয়া হয়েছে।