Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ রবিবার, মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সফল হবো: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:২৮ PM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:২৮ PM

bdmorning Image Preview


কৃষি মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ইরি) পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ খাদ্যে সফল হবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, কৃষির সমস্যা মোকাবেলা করে এর উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইরি’র সহায়তা অব্যাহত থাকবে। উভয়েই একসাথে কৃষির সাফল্যের অগ্রযাত্রাকে টেকসই করবো। ইতিপূর্বে যৌথভাবে উদ্ভাবন ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গোল্ডে রাইস। যার ফলে দেশের ভিটামিন এ অভাব অনেকাংশে দূর হবে। এভাবে পাস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার ফলে কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সচিবালয় তার কার্যালয়ে  ইরি’র প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় যৌথবাবে চালভিত্তিক কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং লাভজনক করার জন্য ৫ বছর মেয়াদী একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। ইরি’র সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হুমনাথ ভানদারি।

এটি ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস বিরি-২৮ ও ২৯ এর মতোই এর উৎপাদন। স্বাবাভিক জাতের ধানের ন্যায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের  ছারপত্রের অপেক্ষায়। আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এটির ছাড়পত্র পাওয়া যাবে, সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বলে কৃষি মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইরি এশিয়াতে খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রেখে আসছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের কৃষি উন্নয়নে তাদের অনেক অবদান রয়েছে। বর্তমান কৃষি বিপ্লবেও ইরি’র অংশীদারিত্ব রয়েছে। উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্জলে কৃষির উন্নয়নে সহায়তা চান মন্ত্রী।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় নিবার্চন এবং   সরকার গঠনকে বিশ্ব নের্তৃবৃন্দ সমর্থন দিয়েছে, অভিন্দন জানাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে যা অতিতের চেয়ে অনেক সুসংহত। জনগণ এরকম পরিবেশ প্রত্যাশা করে। প্রশাসনও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা সচেষ্ট।

পরে মন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষতে মিলিত হন। দ্বিপাক্ষীক আলোচনায় কৃষি প্রধান্য পায়। সরকার ও বিশ্বব্যাংকের এ যৌথ উদ্যোগের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত সহনশীল প্রযুক্তি, কার্যক্রম ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথ খুলে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এতে কৃষি খাতের বিভিন্ন অন্তরায়ও দূর করা সম্ভব হবে। প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে পাশে থাকতে চায় বিশ্ব ব্যাংক। প্রতিনিধিদলের নেতৃত।

কৃষিমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে জানান বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে তাদের পাশে চান। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক মনে করে বাংলাদেশ সময়োপযোগী সিদ্বান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে কৃষিতে সাফল্য এসেছে। ভবিষতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় তারা পাশে থাকবে।

সভায় কৃষির বর্তমান অবস্থা ভবিষৎ করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্বে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আর্ন্তজাতিক বাজারে কৃষি পণ্যের রপ্তানি ও এর বাজার সম্পর্কে খবর জানতে চান মন্ত্রী।

Bootstrap Image Preview