তুরাগ নদকে লিগ্যাল জুরিস্টিক পারসন (আইনগত ব্যক্তি) তথা জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, নাব্যতা ও বেদখলের হাত থেকে নদীকে রক্ষা করা না গেলে বাংলাদেশ তথা মানবজাতি সংকটে পড়তে বাধ্য। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা করতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার আংশিক এ রায় ঘোষণা করেন। আজ বৃহস্পতিবার নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে অবশিষ্ট রায় ঘোষণা করবেন আদালত।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তুরাগের অবৈধ দখলদারদের নাম ও স্থাপনার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। ওই তালিকায় আসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এ মামলায় পক্ষভুক্ত হন। উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্ট নদী রক্ষায় রায় ঘোষণা শুরু করেন।
ঘোষিত রায়ে হাইকোর্ট বলেন, মানবজাতি টিকে থাকার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নদী। বিভিন্ন দেশের সরকার আইন প্রণয়ন করে নদীকে বেদখলের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে।
এছাড়া নদী রক্ষায় বিশ্বব্যাপী আদালত রায়ের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে। যদি রায়ের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা দেয়া না হতো তাহলে হয়ত ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর বহুতল ভবন দেখা যেত। অথবা তুরাগ নদে কোনো অবৈধ দখলদারের হাউজিং স্টেট থাকত।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, এখন এসব নদী রক্ষায় কি আমরা (আদালত) হাজারখানেক মামলা করার উৎসাহ/অনুমতি দেব?
নাকি অবৈধ দখলের হাত থেকে সব নদী রক্ষায় এ মামলাটিকে ধরে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেব? যে নির্দেশনার আলোকে নদী দখলমুক্ত করার মামলা আর আদালতের সামনে আসবে না।