জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তির অধীনে ইয়েমেনের হোদাইদা বন্দরনগরী থেকে হুতি বিদ্রোহীদের সরাতে সড়াতে আরও শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
বুধবার আরব আমিরাতের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ইয়েমেনের প্রধান বন্দরনগরী থেকে সেনা প্রত্যাহারে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির যুদ্ধে জড়িত দুপক্ষই।এতে নতুন করে সর্বাত্মক হামলার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দেশটিতে দুর্ভিক্ষের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরান-সমর্থিত হুতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হোদাইদা বন্দর। অন্যদিকে সৌদি জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় ইয়েমেনের বিভিন্ন দল-উপদল হোদাইদা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে।
আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ বলেন, পশ্চিমা সমর্থিত সুন্নি মুসলিম আরব জোট গত বুধবার হোদাইদা প্রশাসনিক বিভাগে অন্তত ১০টি হুতি প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়েছে।
টুইটারে তিনি বলেন, স্টকহোম চুক্তি মানতে হুতিদের বাধ্য করতে সৌদি জোট আরও শক্তি প্রয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে।
অস্ত্রবিরতি রক্ষায় ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার যে কোনো আশা জাগিয়ে রাখতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ করতে হুতিদের চাপ দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আমিরাতের মন্ত্রী বলেন, এতে ইয়েমেনে সাহায্যের বহর পৌঁছাতে সহায়ক হবে। চুক্তি অনুসারে হুতিদের হোদাইদা বন্দর থেকে সরে যেতে হবে।
চুক্তি রক্ষায় জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিথস বারবার দুপক্ষের মধ্যে যাওয়া-আসা করছেন। কারণ গত চার বছরের যুদ্ধে এ চুক্তিই ছিল সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।
ইয়েমেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছেন। এতে দেশটি দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে ঠেকেছে।