সাহসিকতা, মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা পাচ্ছেন সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান, বিপিএম। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কৃতি সন্তান সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) মো. কামরুল আহসান (বিপিএম)। তিনি ১৯৬৬ সালে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর ত্রিধারা বিধৌত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ইমামপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ঢাকার সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে (এমবিএ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
কামরুল আহসান ২০১৪ সালে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন পুলিশ সপ্তাহ ২০১৬ তে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম-সেবা পদকে ভূষিত হন।
তিনি ১৯৯১ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে যোগদান করেন। মৌলিক ও বাস্তব প্রশিক্ষণ শেষে খাগড়াছড়ি জেলার সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর যথাক্রমে তিনি চট্রগ্রাম জেলার হাটহাজারী সার্কেল এএসপি, এএসপি ডিএসবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি, ফেনী জেলার অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গৌরবময় ও বর্ণিল পেশা জীবনে তিনি শরিয়তপুর, চট্রগ্রাম ও যশোর জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ সদর দপ্তরের এ্যাডিশনাল ডিআইজি (সংস্থাপন) ও এ্যাডিশনাল ডিআইজি (ট্রেনিং) এবং রেলওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০১৬ সালে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। চাকরির শুরুতে রাজশাহীর সারদাতে অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে মৌলিক প্রশিক্ষণের পাঠ্যক্রমে (একাডেমিক) শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় ‘আইজিপি শিল্ড’ অর্জন করেন।
বাংলাদেশ পুলিশে অসাধারণ ও দৃষ্টান্তমূলক চাকরির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি দু’বার আইজি ব্যাজ অর্জন করেন। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, আমেরিকা ও ইতালিতে বিবিধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তিনি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বের অংশ হিসেবে থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, মিশর, গায়ানা, গাম্বিয়া, বাহরাইন, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য পুলিশ কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ‘পুলিশ এডভাইজার’ হিসাবে সিয়েরা-লিওন ও সুদানে দায়িত্ব পালন করেন। সুদান মিশনের কনটিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালনের গৌরবের পাশাপাশি তিনি মিশন সমূহে দৃষ্টান্তমূলক চাকরির স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতিসংঘ শান্তিপদক’ লাভ করেন।
পুলিশ এবং কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন প্রকাশনায় তার লেখা উল্লেখযোগ্য পাঠক স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি মুনমুন ফারজানার সাথে দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ। তার তিন পুত্র সন্তান রয়েছে।