মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন সরকারের তদন্ত কর্মকর্তারা আরও তিনটি অর্থ পাচারের অভিযোগ এনেছেন। এ নিয়ে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের দাখিল করা মোট অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২-এ।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। সর্বশেষ আনীত অর্থ পাচারের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটির জন্য নাজিব রাজাকের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে। এমন অনেক মামলা আছে, যেগুলোতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তার।
গত মে মাসে নির্বাচিত হওয়ার পর মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকার দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। এর আওতায় এসেছে দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বহু সরকারি কর্মকর্তা। দুর্নীতির এসব মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তহবিল তছরুপের অভিযোগ। এই ঘটনায় আরও অভিযুক্ত করা হয়েছে নাজিব সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ ইরওয়ান সেরিগার আব্দুল্লাহ এবং ওয়ানএমডিবির সাবেক সিইও অরুল কান্ডা কান্ডাস্বোয়ামী।
গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগগুলি আদালতে প্রমাণিত হলে প্রতিটি মামলায় সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তাদের প্রত্যেকের। সেই সঙ্গে রয়েছে আর্থিক জরিমানার দণ্ড। তাদের বিরুদ্ধে বেত্রাঘাতের সাজাও ঘোষিত হতে পারত। কিন্তু যেহেতু তাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি সেহেতু তাদেরকে বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হবে না।
রয়টার্স অভিযোগপত্র থেকে জেনেছে, সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সরকারি তদন্তকারীরা নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এক কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার আয়ের অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। যে নতুন তিনটি অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে সোমবার, সেগুলো আদালতে প্রমাণিত হলে প্রতিটির জন্য নাজিব রাজাকের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ রিঙ্গিত করে জরিমানা বা উভয় শাস্তিই হতে পারে।