Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ শনিবার, মে ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্যাপ্টেন আবিদের ওপর আবারও দায় চাপানোর চেষ্টা নেপালের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:১৭ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:১৭ PM

bdmorning Image Preview


কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত বছর বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমানের পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেপালি তদন্তকারীরা। দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের ধূমপানকে দায়ী করেছে দেশটির দুর্ঘটনা তদন্ত কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট বলছে, চলন্ত বিমানের ককপিটে বসেই সিগারেট খাচ্ছিলেন পাইলট।

নেপালের পর্যটনমন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারীর কাছে ৪৩ ‍পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে আই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশও করেন নেপালি তদন্তকারী দল। সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্যগত কারণে কোনও পাইলটের বিমান ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার লাইসেন্স পুনঃনবায়নের আগে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিকে জোরারোপ করা উচিত।

এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিশন গত রোববার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে। প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলন্ত বিমানের ককপিটে বসেই সিগারেট খাচ্ছিলেন পাইলট।

তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই গেল বছরের আগস্টের শেষ দিকে নেপালি গণমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে একইভাবে দায় চাপানো হয়েছিল বিমানের পাইলট আবিদের ওপর। কাঠমান্ডু পোস্টের ওই প্রতিবেদনে তখন উদ্বেগও জানিয়েছিল তদন্ত কমিশন। অথচ পাঁচ মাসের মাথায়ই ভিত্তিহীন ওই প্রতিবেদনের সুরেই কথা বলছে তদন্ত কমিশন।

তদন্ত কমিশন এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোম্পানির ধূমপান নিষিদ্ধের নিয়ম আছে। কিন্তু কামিশনের হাতে আসা তথ্যমতে বিমানটির পাইলট ইন কমান্ড (পিআইসি) ছিলেন একজন ধূমপায়ী। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমান চলাকালীন ককপিটে বসে সিগারেট খাচ্ছিলেন তিনি।’

তদন্ত কমিটির ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তদন্ত কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, বিমানটির নিয়ন্ত্রণকারীর অপারগতা ও ক্রু সদস্যদের পরিস্থিতিগত সচেতনতার অভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। চারপাশ উঁচু পাহাড়-পর্বত থাকায় সেখানে বিমান অবতরণ করাতে সতর্ক থাকতে হয়। তাছাড়া বিমান ওঠানোর সময়ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয়। সেখানকার রানওয়েতে কোনো বিমানই সোজা অবতরণ করতে পারে না।

বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ‘নিয়ন্ত্রণকারীর অপারগতা ও ক্রু সদস্যদের পরিস্থিতিগত সচেতনতার অভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আর সে কারণেই বিমানটি তার সঠিক গন্তব্যে যেতে না পেরে রানওয়েতে নামার জন্য অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।’

কমিটি বলছে, ‘বিমানটি স্বাভাবিক নিয়মে রানওয়ে ছোঁয়ার পথে যেতে দেখা যায়নি। আর সে কারণেই বিমানটি চরম পর্যায়ে এসে রানওয়ে ছোঁয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।’ তাছাড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের যে ত্রুটি ছিল সেটাও উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

Bootstrap Image Preview