আদর্শে অটুট শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় , আর মানব প্রেমের এক অপূরুপ প্রতিমুর্তি ও মানবতার মহান সেবিকার নাম ফাতেমা।পেশায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের সন্তান। তিনি এবার সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান। এ জন্য মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। তাকে সমর্থন জানিয়ে সুপারিশ করেছেন সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য আমার বাবাসহ সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদেরই একজন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন। তার সন্তান আমিন সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য এবার মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। আমরা অবশিষ্ট ৬ বীর শ্রেষ্ঠের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। আশা করি আমাদের অনুরোধ রক্ষা করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধঅনমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই প্রসঙ্গে ফাতেমা আমিন বলেন, ‘আমি একজন ’বীরশ্রেষ্ঠের সন্তান’। ছোটবেলা থেকেই বাবার আদর্শ-কে সযত্নে হৃদয়ে লালন করেই বড় হয়েছি,বাবা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, আমি সেই বাবারই মেয়ে , আমারও ইচ্ছা এবং স্বপ্ন আমার বাবা যে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন আমিও সেই দেশকে ভালোবেসেই সে দেশের মানুষের কল্যানে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।
তিনি আরো বলেন,আশির দশক থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ওমেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই সক্রিয় ছিলাম রাজনীতিতে। মহিলা যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ও জাতীয় মহিলা লীগের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম। আমার সাংগঠনিক দক্ষতাও আছে। এলাকার সব উন্নয়ন কাজে আমি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই সফলতার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। গতবারও মনোনয়ন চেয়েছি কিন্তু পাইনি। তখন নেত্রী আমাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। আশা করি নেত্রী আমাকে এবার আর নিরাশ করবেন না।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা আমিন সবার ছোট। তার জন্ম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাচড়া গ্রামে। শিক্ষকতার জন্য বর্তমানে থাকেন চট্টগ্রামে তবে নোয়াখালী থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। তাই নোয়াখালীর সাতটি আসনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের জন্য কাজ করেছেন।