Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শনিবার, মে ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাঁজার উপরে কোন নেশা নাই!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:০৮ AM
আপডেট: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:০৮ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সারা দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা এখন মাদকাসক্তি। বিভিন্ন প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ক্রমেই বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। মাদকদ্রব্যের মধ্যে বেশি ব্যবহৃত হয় গাঁজা ৮২ দশমিক ৯০ শতাংশ, অ্যালকোহল ২৭ দশমিক ৫০, ইয়াবা ১৫ দশমিক ২০, অপিয়ড ৫ দশমিক ৩০ এবং ঘুমের ওষুধ ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মাদকাসক্তের সংখ্যা নির্ধারণে দেশে প্রথমবারের মতো একটি সমীক্ষা চালানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ সমীক্ষা হয়।

দেশের সাতটি বিভাগের ৭ বছরের ঊর্ধ্বে ১৯ হাজার ৬৬২ জনের ওপর বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারের প্রকোপ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের ওপর সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. ফারুক আলমের নেতৃত্বে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বছরব্যাপী পরিচালিত এই সমীক্ষার তত্ত্বাবধান করেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষের মধ্যে মাদক ব্যবহারকারী ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারীদের মাঝে দশমিক ৬ শতাংশ। পেশা অনুসারে মাদক ব্যবহারকারীর হার শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপর রয়েছে বেকার জনগোষ্ঠী, যা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া, ব্যবসায়ী ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, কৃষক ৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং চাকরিজীবীদের মধ্যে মাদক সেবন করেন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক আলম বলেন, ১৯ হাজার ৬৬২ জনের কাছ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত প্রশ্নমালা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের অ্যালকোহল, স্মোকিং অ্যান্ড সাবসট্যান্স স্ক্রিনিং টেস্ট (এএসএসআইএসটি) করা হয়েছে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে আসক্তদের প্রশ্ন ও পরীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে আর্থ-সামাজিক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩৩টি প্রশ্নের মাধ্যমে তথ্য নেওয়া হয়। এরপর এএসএসআইএসটির মধ্যে কোন কোন মাদক কত দিন ধরে সেবন করা হচ্ছে, সেই তথ্য নেওয়া হয়। সব শেষে মানসিক রোগের উপস্থিতি আছে কি না, এর ওপর ডিএমএস ম্যাথডে ২৪টি সেলফ রিপোর্টিং প্রশ্ন করে তা নির্ণয় করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে সমীক্ষাটি চালানোর জন্য সাধুবাদ জানাই। এর আগে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা কোনো সমীক্ষায় পাওয়া যায়নি। তারাই প্রথমবারের মতো এ ধরনের সমীক্ষা চালিয়েছে। আমরাও (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর) মাদক সেবনকারী বা গ্রহণকারীদের সংখ্যাসহ অন্যান্য বিষয়ের সমীক্ষা চালাব। পরিসংখ্যান ব্যুরোর কারিগরি সহযোগিতায় চলতি বছর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে।

Bootstrap Image Preview