'৪র্থ জাতীয় সবজি মেলা'য় ২২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ হতে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী রাজধানী ঢাকার খামার বাড়িটিতে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সমাপনী দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু মেলার বিভিন্ন স্টল সরেজমিনে ঘুরেফিরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। সবজি মেলায় মোট ৬৮টি স্টল ও প্যাভেলিয়ন বসে। তিনদিনে মেলায় ২২ লক্ষাধিক টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে মেলাকর্তৃকপক্ষ প্রতিমন্ত্রীকে জানান।
মেলা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন সবজি ও ফলমূলের বারোমাসী জাতের উদ্ভাবনের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন।
তিনি উপজেলাপর্যায়েও নিয়মিত সবজি মেলা ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, মেলার স্টলগুলো থেকে দর্শণার্থীদের অর্গানিক সবজি উৎপাদনের নিয়মকানুন ব্যাখ্যার পাশাপাশি পারিবারিকভাবে সবজি চাষাবাদের জন্য উদ্ধুকরণের দরকার।
মেলা পরিদর্শনের পর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানেও তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করে। তিনি কৃষিপণ্যসহ শাক-সবজি ও ফলমূলে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক পরিহারের পাশাপাশি অসময়ে অপরিপক্ক সবজি বিক্রি থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
খসরু নিরাপদ সবজিচাষে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগেকার দিনে প্রতিটি বাড়ির আশেপাশে যেমন সবজির গাছ লাগিয়ে নিজেদের জরুরি প্রয়োজন মেটানো হতো, তেমনই আবাবও প্রতিপরিবারে অর্গানিক সবজিচাষে উদ্ধুকরণে মাঠকর্মীদের নির্দেশ দেয়ার জন্য কৃষিমন্ত্রণালকে অনুরোধ করেন। তিনি বসতবাড়ি ছাড়াও টব ও ছাদের সবজিচাষকর অধিকতর উৎসাহদানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এরআগে প্রতিমন্ত্রী সবজি উৎপাদনে অবদান রাখায় মেলার স্টল ব্যতীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানপর্যায়ে ২০১৮ সালের কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি অমিতাভ দাসের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রউফ, ১ম ও দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক যথাক্রমে বদু মিয়া ও বেলী বেগম।