নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি, ইসাহাক হোসেন হত্যাকান্ডের দেড় মাস পার হলেও নৃশংস সেই হত্যার রহস্ব্য উদঘাটন কিম্বা খুনিদের এখনও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় হতাশা আর শংকায় নিহতের স্বজনরা। মামলার অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ, দলের নেতাকর্মিদের মাঝেও।
জানা গেছে, গত (৪ ডিসেম্বর ২০১৮) ইসাহাক হোসেন দিনভর নির্বাচনী কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু ঘরের ভেতর আগে থেকেই লুকিয়ে থাকা হত্যাকারীরা তাকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পরদিন ইসাহাকের শ্যালক আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই বাড়ির কেয়ারটেকারসহ সন্দেহ ভাজন ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সভাপতি হত্যার এতোগুলি দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত হত্যাকারী সনাক্ত হয়নি। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বার বারই এ বিষয়ে তাগাদা করতেছি। আমরা চাই দ্রুত হত্যার কারন উদঘাটন করে হত্যাকারিদের সনাক্ত করে সঠিক বিচারের আওয়াতায় নিয়ে আসা হোক।
তিনি আরো বলেন, স্বজনদের অভিযোগ মামলার অগ্রগতিতে গাফিলতি আর সময় ক্ষেপন করছে পুলিশ। তাই নিজেদের নিরাপত্তা আর মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। হত্যাকান্ডের ঘটনার মাত্র ১ দিন আগে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডাইয়েরী করেছিলেন ইসাহাক হোসেন। কিন্তু পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। খুনিরা সনাক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ নেতা কর্মিদের মাঝে। তবে পুলিশের দাবি রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে তারা।
এ ব্যপারে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, হত্যার রহস্ব্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এই হত্যার পেছনে কে আছে অথবা কারা কারা যোগসূত্র স্থাপন করেছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা আসা করছি খুব তারাতারি এই ঘটনার রহস্ব্য উদঘাটন হয়ে যাবে।