প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের ৭টি কারণ জানিয়েছেন।
তিনি আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কারণগুলো বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ জোটের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে জনগণ ভালোভাবেই জানেন। এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। তাঁদের পরাজয়ের নানা কারণ রয়েছে:
১. এক আসনে ৩-৪ জন বা তারও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন
২. মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ এবং দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন
৩.নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন-সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা
৪. নিজেরা জনগণের জন্য কী করবে, সে কথা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নেবে-তাদের প্রচারণায় সেটি প্রাধান্য পেয়েছে।
৫. সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা ছাড়া নিজেদের সাফল্যগাথা তারা তুলে ধরতে পারেনি।
৬. ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী অগ্নি-সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি।
৭. বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের মনোনয়ন তরুণ ভোটাররা মেনে নিতে পারেনি। তরুণেরা আর যাই হোক স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পক্ষ নিতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো ছাড়াও আরও বহু উদাহরণ দেওয়া সম্ভব, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে যে সাধারণ ভোটারেরা বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন এবং নৌকার অনুকূলে এবার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।