প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় কোটি তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
তিনি আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তরুণদের মনন তৈরি হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। তাদের চিন্তা-চেতনা দেশ ও জাতি গঠনে এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য আসছেন। তিনি বলেন, সারা দেশে দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, পর্যটন, সেবা খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের ৫ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবো। অাওয়ামী লীগ কথামালায় বিশ্বাসী নয়। আমরা কাজে বিশ্বাসী। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। শুধু কথা বলে সময় অতিবাহিত করতে আমরা প্রস্তুত নই।
শেখ হাসিনা বলেন, তরুণেরাই দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার। তারুণ্যের সৃষ্টিশীলতা, উদ্যম এবং শক্তির উপর আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। তারুণ্য মানেই বাংলা ভাষার জন্য আত্মদান, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, আসাদ-মতিউর, নূর হোসেনদের রক্তদান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালে আরেক বিজয়ের মাসে এ দেশের ভোটারগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে, আমাদের দেশ সেবার সুযোগ করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি- আমার ব্যক্তিগত কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-পরিজনকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য; এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। এ দেশের সাধারণ মানুষেরা যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারেন- তা বাস্তবায়ন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন: ‘মহৎ অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগের প্রয়োজন।’ আমরা ত্যাগের পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমার বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আমরা তরুণদের শক্তি, মেধা ও মননকে সোনার বাংলা গড়ার কাজে সম্পৃক্ত করব। আজকের তরুণেরাই পারবে দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোটদাতাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। সাথে সাথে যারা আমাদের ভোট দেননি কিন্তু অন্যদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, এমন একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়ায় এর সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।