আগামী সপ্তাহ থেকেই আসা শুরু করবে রেলের নতুন কেনা ৫০ ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ। প্রথম চালানে ১৫টি, ২য় চালানে ১৮টি, ৩য় চালানে ১৭টি ব্রডগেজ কোচ চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে রেলে যুক্ত হবে।
একই সঙ্গে চুক্তিপত্র অনুযায়ী ২০০টি মিটারগেজ কোচও আসা শুরু করবে জুন-১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত।
এসব কোচের চালান আসলে রেলের কোচ সংকট কমে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন একাধিক ট্রেন সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।
প্রথম চালানের ব্রডগেজ কোচের জিআইবিআর পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ (উন্নয়ন)।
বুধবার এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিআরবিতে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশীদসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধান ও এডিশনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভাও করেছেন। এতে কোচগুলো সরবরাহের পর কিভাবে আরও কাজ করা যায় সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কোচগুলো তৈরির কাজ শেষ হলে সর্বশেষ ২১ নভেম্বর প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উৎপাদনকারী ইন্দোনেশিয়ান কোম্পানি পিটিইনকার কারখানায় পরিদর্শন করে। ৮ দিনের ওই সফরে বিভিন্ন টাইপের কোচের নকশা ও প্রস্তুতকৃত একটি করে কোচ পরীক্ষা করে দেখে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। অর্ডার দেয়ার সময় যে ধরনের সুবিধা চাওয়া হয়েছিল সেভাবেই কোচগুলো তৈরি হচ্ছে কিনা পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন প্রদানের পরই বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে কোচ তৈরির কাজ শুরু করে কোম্পানিটি।
শুরুতে সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৫টি এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ব্রডগেজ কোচগুলো বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় একমাস বিলম্বে এসব কোচ বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ান কোম্পানিটি। ২৫০ কোচ আমদানিতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) দিচ্ছে ১ হাজার কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করছে ৩৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি কোচ আমদানিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের খরচ হচ্ছে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।
আমদানির বহরে থাকা ২০০ মিটারগেজ ও ৫০ ব্রডগেজ কোচের রেক সাজাতে এরই মধ্যে একটি প্রস্তাব দিয়েছে রেলের পরিবহন বিভাগ। পূর্বতন কোচগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এমজি কোচগুলো আমদানি করায় পূর্বাঞ্চল রেলের বেশকিছু আন্তঃনগর ট্রেনে নতুন কোচ সংযোজনের পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে। এরমধ্যে বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা, উদয়ন, উপকূল, সূবর্ণ, চট্টলা, যমুনা, উপবন, জয়ন্তিকা ট্রেনের রেকগুলো নতুন কোচ দিয়ে সাজানো হবে।
বর্তমানে চট্টলাসহ রেলের বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন দ্বিতীয় শ্রেণির কোচ দিয়ে চলাচল করে। চট্টগ্রাম-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট রুটের ট্রেনগুলোর কোচও পুরনো। নতুন ক্রয় করা কোচ দিয়ে পুরনো রেক নতুন করে সাজানো হবে।