খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলী রোড থেকে খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্যঃ গত ১৪ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান শেষ হয়েছে। এর পরই ফের খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত কঠোরভাবে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
এসময় সাঈদ খোকন বলেন, খাদ্যে ভেজাল বিষয়টি জনগণের মাঝে উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ ছড়িয়ে পড়েছে যে কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যে ভেজাল, মাদক, সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এই বার্তা ইতিমধ্যে সব সংস্থার কাছে পৌঁছে গেছে যার ফলে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
হোটেল, রেস্তোঁরার মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে সাঈদ খোকন আরো বলেন, হোটেল, রেস্তোঁরার মালিক, এবং সংশ্লিষ্টদের বলবো খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে আপনারা সংশোধন এবং সতর্ক হয়ে যান। অন্যথায় আপনাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি থেকে আমরা খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু করেছিলাম। নাগরিকরা আমাদের এমন অভিযানে সাধুবাদ জানিয়েছে পাশাপাশি এমন অভিযান অব্যাহত রাখতে আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা আবারও ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু করছি।
কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
সাইদ খোকন জানান, রেস্টুরেন্টগুলোতে আমাদের অভিযান শুধু সীমাবদ্ধ থাকবে না পাশাপাশি যারা ওষুধের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।
এসময় মেয়র বেইলী রোডে অবস্থিত নবাবী ভোজ রেস্তোঁরায় ঢুকে রেস্তোঁরার ভিতরের পরিবেশ পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি থেকে দূরে থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
খাদ্যে ভেজাল বিরোধী বিশেষ অভিযান উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি তুষার আহমেদ, র্যাবে ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, বিএসটিআই এর প্রতিনিধি আজহারুল হক প্রমুখ।