যেকোন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ছাড় দেয়া যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জনগণ যথাযথ সুবিধা ভোগ করবে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত ১৫০ টি প্রকল্পের উপর পর্যালোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ১৫০ টি প্রকল্পের পরিচালকদের নিয়ে আজ দিনব্যাপী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জনগণকে উন্নয়নের চমক দেখাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নে গৃহীত সকল প্রকল্প সময়মত বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহ সরাসরি প্রান্তিক জনগণের স্বার্থের সাথে জড়িত। প্রকল্প বাস্তবায়নে জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে সকলকে কাজ করতে হব।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এলজিইডি-র প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।