সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। আসছে দিনগুলোতে তারা আরও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলুদ জায়িশ আওগালু।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা লোকজন অর্থ দেখে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে।
সোমবার ইস্তানবুলে তরুণদের এক সমাবেশে মাওলুদ জায়িশ আওগালু বলেন, ওয়াশিংটন পোস্টের এ সাংবাদিকের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজস্ব তদন্তে পাওয়া তথ্য তুরস্কের সঙ্গে শেয়ার করেনি সৌদি আরব।
রিয়াদের সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গেলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
কনস্যুলেটের ভেতরেই তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। তুরস্কের দাবি, এটি সৌদি সরকারের নির্দেশে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
সৌদি আরব এ সাংবাদিকের নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে এক নীতিহীন অভিযানে তিনি নিহত হয়েছেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের তদন্ত খাশোগি হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে সৌদিকে বাধ্য করে। পশ্চিমা দেশগুলো এ হত্যাকাণ্ড চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
মাওলুদ জায়িশ আওগালু বলেন, আমরা দেখেছি- বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা যখন অর্থ দেখেছেন, তখন এ বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। কাজেই আসন্ন যে কোনো সময় একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলার বিপদ নিয়ে তুরস্ক অবগত বলে জানান আওগালু।