Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দ. কোরিয়ার ইপিএসকর্মীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে সরকার: রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:১৭ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:২২ PM

bdmorning Image Preview


দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে (অনলাইনে) এইচএসসি (মানবিক) শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।

২০ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় কর্মরত বাংলাদেশী ইপিএসকর্মীদের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।   

দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইপিএসকর্মী স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। রাষ্ট্রদূত তাদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

তিনি জানান যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী ইপিএসকর্মীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে (অনলাইনে)  এইচএসসি (মানবিক) শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে তিনি অতিসত্ত্বর দূতাবাসে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানান।

তা ছাড়া, বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে তিনি উপস্থিত ইপিএস সংগঠন সমূহকে যথাশীঘ্র সম্ভব একটি “কল্যাণ তহবিল” গঠনেরও প্রস্তাব দেন।

ইপিএসকর্মীদের নানা সমস্যা ও সমাধান, বিগত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম।

তিনি বলেন যে, দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজার, সে কারণে এই বাজার ধরে রাখার জন্য, বাংলাদেশী ইপিএসকর্মীদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি সমবেত ইপিএস কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন যাতে তারা দেশে ফিরে গিয়ে উদ্যেক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।

নতুন উদ্যেক্তাদের করণীয় বিষয়ে একটি প্রাণবন্ত উপস্থাপনা প্রদান করেন দূতাবাসের কাউন্সিলর (বাণিজ্য) মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী। তার উপস্থাপনায় উপস্থিত অনেক ইপিএসকর্মীই অনুপ্রাণিত হন। পরে ইপিএসভিত্তিক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইপিএসকর্মীদেরকে উন্মুক্ত আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা কর্মক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা সমূহ যথাসম্ভব সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সভার শেষ পর্যায়ে ইপিএসকর্মীদের প্রস্তাবসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গৃহীত হয়।  

পরিশেষে ইপিএসকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনা করা হয়। 

Bootstrap Image Preview