পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে বিশ্বনেতাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সিলেট আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সংবর্ধনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, জনগণের ব্যাপক সমর্থনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। এজন্য জনগণের প্রতি এ সরকারের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এ ছাড়া দেশের মানুষের পাশাপাশি বিশ্বে যুদ্ধবিদ্রোহ কমাতে আক্রান্তদের সহযোগিতা করবেন বলে জানান মন্ত্রী।
প্রথম সফরে ভারতে যাবেন মোমেন, সেখানে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘অনেক দূর আলোচনা হচ্ছে, আলোচনা চালিয়ে যাব, আমরা সবসময় আশাবাদী।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আসলে অত্যন্ত জটিল এবং জরুরি ইস্যু। এ নিয়ে আমাদের অনেক কাজকর্ম হয়েছে, আরো আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সিচুয়েশনটা কিভাবে আমাদের স্বপক্ষে নিয়ে আসতে পারি। যা আমাদের সরকার করেছে সেগুলোই করছি। স্পেশাল কিছু (করছি) না। আগামীতে আমরা আলোচনার মাধ্যমে দেখব। মিয়ানমার আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র, তাদেরকে আমাদের বোঝানোর সুযোগ হবে।
আমি যেটার ওপর বেশি জোর দিচ্ছি, এই সমস্যা যদি অনেকদিন জিইয়ে রাখা হয়। তাহলে এ অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তার ফলে বাংলাদেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, মিয়ানমারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইভাবে আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোরও স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। এজন্য সবার মঙ্গলের জন্যে এই সমস্যার সমাধান সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া জরুরি।
আমি মনে করি, বিশ্বে যত নেতা আছেন, তাদেরও একটা দায়দায়িত্ব আছে। এই মানবিক সমস্যা দূর করার জন্য তাদেরও একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
এ ছাড়াও তিনি নয়জন সচিব ও অনেককে সঙ্গে নিয়ে ভারত সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।