বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের বিশ্বনাথে কুখ্যাত মাদক সম্রাট, জুয়া ও দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অন্যতম হোতা সুহেল মিয়া ও তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন ৪ পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার বৈরাগী বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। সুহেল স্থানীয় নওধার (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত করিম বক্সের ছেলে।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে সেখানে ছুটে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার ও ওই এলাকায় অভিযান চালান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম। তবে তারা ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেননি। আহত ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, নওধার পূর্বপাড়া (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত আহমদ আলী ওরফে ছাবাল শাহ'র মাজারকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে মাদক, জুয়া ও কথিত বাউলশিল্পী নামধারী মেয়েদের দিয়ে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে তার প্রথম পক্ষের পুত্র আশিক নুর ও তার নিকটাত্মীয় মাদক সম্রাট সুহেল মিয়া। এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে ছাবাল শাহ'র দ্বিতীয় পক্ষের একমাত্র মেয়ে কলেজছাত্রী তাসলিমা আক্তার প্রতিবাদী ও প্রশাসনের দারস্থ হলে গত বছরের ১৯শে জুলাই তাকে মারধোর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় সুহেল, আশিক নুর ও তাদের সহযোগিরা।
এ ঘটনায় একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সুহেল-আশিকসহ ৫জনের নামোল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেয় তাসলিমা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার এটি মামলা (নং- ৯) হিসেবে রেকর্ড হয়।
ওইদিনই মামলার আসামি সুহেলকে গ্রেফতার করতে ৩ কনস্টেবল নিয়ে সাদাপোষাকে বৈরাগীবাজারের একটি হোটেলে অভিযান চালান থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই খোদ সুহেলের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালায় তার সহযোগিরা। এসআই নাইডুসহ চার পুলিশকে আহত অবস্থায় অবরুদ্ধ রেখেই পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে মাঠে তৎপর রয়েছে পুলিশ।