দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালন করা হয়েছে।
পবিত্র ধর্মগ্রহন্থসমূহ থেকে পাঠের মধ্যে দিয়ে এ দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হয় আজ বিকাল ৪ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানোর পর এই দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশদ আলোচনা করা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের কমিউনিটির সদস্যসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তারা বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের পর সবারই প্রতীক্ষা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আগমনের। প্রায় ২৫ দিনের প্রতীক্ষা শেষে বন্দীদশা থেকে সসম্মানে মুক্ত হয়ে তিনি যখন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন, সেইদিনেই বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের প্রথম আনন্দে মেতে উঠে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যের প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পরদিনই বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। দেশের ভেঙ্গে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়নের সূচনা করেন। সেইসাথে বিশ্ব দরবারে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার। আর লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের এবং তিনি আজীবন এই লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন।
এরপর জাতির জনকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরিশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটির পরিসমাপ্তি ঘটে।