বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অর্থপাচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক ম্যাইয়া সান্তোস ডিগুইটো।
বৃহস্পতিবার দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র মেকাটি শহরের একটি আদালত এ রায় দিয়েছে।
২০১৬ সালের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই অর্থ চুরির ঘটনায় এই প্রথমবারের মতো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ফিলিপিন্সের ঋণদাতা ব্যাংক রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকের একটি শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ডিগুইটো অর্থ পাচারের আটটি অভিযোগে মেকাটি আঞ্চলিক বিচার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
প্রতিটি অভিযোগের বিপরীতে তার চার থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া ১১ কোটি ডলার জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন।
উল্লেখ্য, রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ভুয়া পরিচয়ে খোলা পাঁচটি অ্যাকাউন্টে গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ভুয়া সুইফট বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ সরানো হয়।
শাখা ব্যবস্থাপক দেগিতো তখন বলেছিলেন, ওই পাঁচটি অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি ব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট তান জানতেন।
এরপর গত এপ্রিলে অধিকার লঙ্ঘন ও মানহানির অভিযোগে দেগিতোর বিরুদ্ধে মামলা করেন তান।
জালিয়াতির মাধ্যমে ফেডারেল ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে গচ্ছিত রিজার্ভ সরানোর বিষয়টি টের পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ওই অর্থ ছাড় না করতে সুইফট বার্তায় নির্দেশনা দেওয়া হলেও অর্থের একাংশ ব্যাংক থেকে ছাড় হয়ে ক্যাসিনোতে জুয়ার টেবিলে চলে যায়।
এ ঘটনায় ফিলিপিন্সে তদন্ত শুরুর পর আরসিবিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশনার পরও অর্থ ছাড় করায় দেগিতোকে দায়ী করার মধ্যে তিনি পদত্যাগ করার কথা গণমাধ্যমকে জানান।
তবে দেগিতোকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ব্যাংক প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে লরেঞ্জো তানও পদত্যাগ করেন।