Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগস্টে উৎপাদনে আসছে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৫২ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:০১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


১৩শ ২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে আগামী আগস্টের মধ্যে উৎপাদন কাজ শুরু হবে। হাতে সময় কম থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকরা। ইতোমধ্যে কাজ শেষের পথে জেটি ও বয়লার একের। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ ও যারা আছেন তাদেরকে দক্ষ করার কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা।

মুলত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল উপাদান কয়লা। আর পটুয়াখালীর পায়রা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগামী ১০ বছর এই কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে সমুদ্র পথে। এই কয়লা খালাস করে বিদ্যুৎ প্লান্টে সরবরাহ করতে ইতোমধ্যে আগুনমুখা নদীতে নির্মাণ করা হয়েছে ৩শ ৮৫ মিটার জেটি। জেটিটিতে একসাথে দুটি জাহাজের কয়লা খালাস করা যাবে। আর খালাস হওয়া কয়লা শ্রমিক ছাড়াই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে চলে যাবে বিদ্যুৎ প্লান্টে।

বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী প্রকৌশলী রিফাত আল মাহমুদ বলেন,'কয়লা আনলোড করার জন্যে আমরা গ্রেডশীপ আনলোডার প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। এর মাধ্যমে জাহাজ থেকে কয়লা নিয়ে কনভেয়ার গ্যালারির মধ্যে দিয়ে দেয়া হবে।'

প্লান্টে আসা কয়লা পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানিকে স্টিম করা আর সেই স্টিমকে সবেগে টারবাইনের মাধ্যমে পাঠিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য শেষের পথে বয়লার এক ও টারবাইনের কাজ। আর প্লান্ট থেকে নির্গত ধোঁয়া যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে, সে জন্য নির্মাণাধীন ২শ ৭৫ মিটার চিমনির ২৫ মিটার সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো তারিকুর নুর বলেন, '৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। টারবাইন অল্টারনেটর এরইমধ্যে বসে গেছে।'

এদিকে বয়লার ও টারবাইন বাদে পুরো ১শ একর জুড়ে চলছে আরো বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণ কাজ। যার মধ্যে আছে প্রশাসনিক ভবন,ডরমেটরি ভবন, আরো একটি ১৩শ ২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্লান্ট,৩৬শ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎ প্লান্টস। তবে আগামী এপ্রিলে বয়লার এক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় আগস্টের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।

মোঃ রেজয়ান (ইকবাল খান, নির্বাহী প্রকৌশলী, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) বলেন, 'কিছু কারণে একটু ডিলে হচ্ছে, আশা করছি আমরা দ্রুত এটার সমাধান করতে পারব।'

এই বিদ্যুৎ প্লান্টের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। শুধু ১৩শ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে আরো ১৩শ ২০ মেগাওয়াট কয়লা ও ৩৬শ মেগাওয়াট গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর তখন দেশের সবথেকে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিণত হবে এটি।

Bootstrap Image Preview