সউদ আল কাহতানি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপি ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। খাসোগি হত্যার বিচার শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মামলার অন্যতম প্রধান আসামি আল কাহতানির হদিস নেই।
খাসোগি হত্যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরই তাকে যুবরাজের গণমাধ্যম উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এর আগেই আত্মগোপনে চলে যান কাহতানি। এরপর গত প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে পুলিশের ‘খোঁজাখুঁজি’তেও তার কোনো হদিস মেলেনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের (এই পত্রিকার সাংবাদিক ও কলাম লেখক ছিলেন খাসোগি) অভিযোগ, কাহতানিকে লুকিয়ে রেখেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তিনি কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করে বলতে চাচ্ছে না রিয়াদ। মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।
গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে বিয়ের কাগজপত্র নিতে গেলে খাসোগি হত্যা করা হয়। রিয়াদ থেকে পাঠানো যুবরাজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে গঠিত ১৫ সদস্যের একটি দল তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে এসিডে পুড়িয়ে হাওয়া করে দেয়। হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আল কাহতানি।
গণমাধ্যম উপদেষ্টা হিসেবে বিন সালমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালাতেন তিনি। আল কাহতানিসহ খাসোগি হত্যার আসামি ১৭ জন হলেও মাত্র ১১ জনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রিয়াদের একটি আদালত।
গত নভেম্বরেই কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্তাধীন রয়েছেন কাহতানি এবং তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকেই তার ব্যাপারে আর কোনো তথ্য দেয়নি সৌদি সরকার।
প্রথম শুনানির দিন সৌদির প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মুজেব বলেন, খাসোগি হত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কাহতানির। হত্যা পরিকল্পনায় তার ভূমিকা ছিল কিনা কিংবা তাকে ফাঁসানো হয়েছে কিনা- তার জড়িত থাকার বিষয়ে এ ধরনের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হত্যার অভিযোগ থেকে যুবরাজকে আড়াল করতেই তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আরব সেন্টার অব ওয়াশিংটনের নির্বাহী পরিচালক আলজাজিরাকে বলেন, ‘কাহতানির নিখোঁজ সৌদি তদন্ত প্রক্রিয়ার একটা স্বাভাবিক অগ্রগতি। খাসোগি হত্যার অভিযোগ থেকে যুবরাজকে রক্ষা করতেই সম্ভবত এই কৌশল নেয়া হয়েছে।’