সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ১৫ বাংলাদেশি। তাদের বহরমপুর কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া এসব বাংলাদেশি রাখাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোহরপুর ট্যাক ও জোহরপুর সাতরশিয়া সীমান্তে পথে সম্প্রতি গরু আনতে ভারতে যায় বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবরে আরো জানা যায়, গত শনিবার গভীর রাতে প্রায় ৩০ বাংলাদেশি রাখালের একটি দল ৩০টি ভারতীয় গরু নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যায়। এ সময় ভারতের তিন কিলোমিটার ভেতরে দিঘিরগ্রাম সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৩০টি গরু নিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা।
এ সময় পশ্চিমবঙ্গের সুতি থানার পুলিশ ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে ১০টি গরু জব্দ করে সাত বাংলাদেশি রাখালকে গ্রেফতার করে। বাকি রাখালরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে গ্রেফতার সাত বাংলাদেশি হলেন- গোলাম রাব্বানী (৩২), সাকিম আলী (২৮), মোশাররফ হোসেন (২৬) রনি শেখ (২৭), দাখেল শেখ (১৯), মামুন রেজা (১৮) ও মোমিন শেখ (২০)। গ্রেফতার হওয়া এসব বাংলাদেশি রাখালের বাড়ি চাঁপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
সোমবার গ্রেফতার হওয়া এসব বাংলাদেশিকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে তাদের বহরমপুর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালতের বিচারক।
সূত্রটি আরো জানায়, এদিকে গত ১৩ ডিসেম্বর সুতি থানার পুলিশ চাঁদনীচক সীমান্ত থেকে রসুল শেখ (২৪) ও জিয়াউল হক (৩০), ও নুরুল শেখকে ৬টি এবং গত ১০ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের লক্ষ্মীপুর সীমান্ত এলাকা ১০টি গরুসহ আরো সাত বাংলাদেশি রাখালকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার ওসি অরূপ রায় মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, প্রতিদিনই গরু আনতে কিছু কিছু বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকছে। শুধু এক সপ্তাহে সুতি থানা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত গরু ও কাশির সিরাফ (ফেনসিডিল) পাচারের কাজে এরা ভারতে ঢুকছে বলে জানান তিনি। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম ছাড়াও চোরাচালান আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।