সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছে পোশাকশ্রমিকরা।তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার পর থেকে তারা মিরপুরের কালশী সড়কে অবস্থান নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে পোশাকশ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানের কারণে বর্তমানে সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একবার সরে গেলেও শ্রমিকরা আবার অবস্থান নেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক করিম বলেন, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে তারা মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছে। ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
এর আগে গত ৩ দিন এয়ারপোর্ট, উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর সড়কে অবস্থান নেন তারা। রবিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরায় সড়ক অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে বিমানবন্দরের সামনের সড়কে একটি বাসে শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন।
তিনি জানান, দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের সামনের চত্বরসংলগ্ন রাস্তায় এনা পরিবহনের বাসটি ভাংচুরের পর তাতে আগুন দেন শ্রমকিরা।
অবরোধের ফলে উত্তরার জসীমউদ্দীন, আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে ভার্সেটাইল অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ কে ফজলুল হক আজমপুর চৌরাস্তায় এমে শ্রমিকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন। পরে মালিকপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান।