থানায় ঢুকে পুলিশের সামনে এক যুবককে একের পর এক চড় মারছেন এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে থাকা নারীও ওই যুবককে পর পর কয়েকবার চড়, লাথি মারলেন। তারপর ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তোমায় যদি আধা ঘণ্টার মধ্যে থানায় ঢুকিয়ে দিতে না পারি, তাহলে তোমাকে বাড়িতে এসে মেরে ফেলব!
ভিডিওতে ওই যুবককে বার বার ক্ষমা চাইতেও দেখা যায়। কিন্তু তারপরেও চলতে থাকে মারধর। রবিবার ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায়।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের সময় জেলাপ্রশাসকের স্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিল এক যুবক। এই অভিযোগে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ফালাকাটা থানায় ডেকে তাকে বেধড়ক মারধর করেন আলিপুরদুয়ার জেলাপ্রশাসক নিখিল নির্মল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ ও তার বান্ধবী সায়নী সরকার।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবককে ডিসির মারপিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
রবিবার ডিসি নির্মলকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বামীর এমন আচরণকে কোনোভাবে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না স্ত্রী নন্দিনী। বরং স্বামীর এই কাজের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে স্বামী নিখিল নির্মলের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, আই লাভ ইউ নিখিল, আই প্রাউড অব ইউ। তোমার স্ত্রী হিসেবে আমি ভাগ্যবতী।ফেসবুকে নন্দিনী লিখেছেন, অনেক কথা হয়ে গেছে। যদি সরানোর হয় তো সরিয়ে দাও। কিন্তু কারো স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে কোনো মানুষকে বিরক্ত করো না। ভিডিওতে কী দেখানো হচ্ছে তা তোমরা কি কেউ জানো? যা দেখানো হচ্ছে তা জেনেশুনেই দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, যা হয়েছে তা কেউ দেখায়নি। হ্যাঁ, শালাকে থাপ্পড়, লাথি মেরেছি। অন্য কেউ হলে মেরেই ফেলতো এ ধরনের লোককে।
ডিসির এই স্ত্রী লিখেছেন, বিয়েতে সাত পাক ঘোরার সময় আমার স্বামী আমার দেখাশোনা, আমাকে রক্ষা, আমার হয়ে দাঁড়াবার কথা বলেছিল। আমি তার জন্য গর্বিত। সে সত্যিকারের হিরো। কেউ আপনার স্ত্রীকে যদি বলে যে তোমার......(অশ্লীল মন্তব্য)। তাহলে এটা ঠিক হবে; তাই তো? নিখিলের বিষয়ে আপনাদের আচরণ ঠিক এরকম, আরে ও (অভিযুক্ত যুবক) তো ধর্ষণ করেনি। শুধু তো কমেন্ট করেছে ভাই। থাপ্পড় মারা ঠিক হয়নি। ওই ধরনের লোক উচ্ছন্নে যাক যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়।