যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। সিরিয়া বিষয়ে ইসরাইলের আবদার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে তেল আবিবের গণমাধ্যম। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আসাদ সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করেছে কুর্দি বিদ্রোহীগোষ্ঠী।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার পরই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মিত্রদেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের যেন নতুন সুযোগ সৃষ্টি না হয় সেবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে কুর্দি বিদ্রোহীরাও। সম্প্রতি সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আকস্মিক ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ওই ঘোষণায় হতাশ হয়ে পড়ে কুর্দি বিদ্রোহীরা।
এমন পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আসাদ সরকারের সঙ্গে চুক্তির করতে রাজি হয়েছে সশস্ত্র কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দেশটিতে স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় রোডম্যাপ তৈরি করতে মস্কোর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে বলে জানান এ কুর্দি নেতা।
কুর্দি নেতা বাদরান জিয়া কুর্দ বলেন, সিরিয়ার উত্তর এবং পূর্বাঞ্চল নিয়ে আমরা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তুলতে চাই। এ বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা দাখিল করেছি। প্রথমত, তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার যে সীমান্ত অঞ্চল রয়েছে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করব আমরা। তুরস্কের সব ধরনের হুমকি প্রতিরোধ করা হবে।
দ্বিতীয়ত, সিরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী এই অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন চালু করা হবে।
এদিকে সিরিয়ায় ইরানি অবস্থান করায় এই মুহূর্তে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার থেকে তেল আবিব বিরত থাকার আহ্বান জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।
ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদন বলা হয়, সেনা প্রত্যাহারের পর সিরিয়ার হুমকির বিষয়ে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করলেও তা আমলে নেননি। সিরিয়ায় ইরানি সেনাদের উপস্থিতির ভয়াবহতা ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্দাজ করতে পারছে না বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।