বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বিকেলে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভকারী দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেবেন ও শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। তারপর প্রধানমন্ত্রী তার মনোনীতদের মধ্য থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী অথবা উপমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগদান করবেন।
বঙ্গভবনে শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। রাষ্ট্রপতির দপ্তর ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যৌথভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অতিথিদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। স্পিকার, সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় এক হাজার অতিথি এবার শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পাচ্ছেন।
কাল প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের পদের অবসান এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার বিলুপ্তি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এদিকে সরকারি যানবাহন পরিদপ্তরকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভিআইপি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গতকাল শনিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি এমপিদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মেয়াদ আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিলো।
প্রসঙ্গত দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। ৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গেজেট আকারে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। ৯ জানুয়ারি এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। একইদিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগদানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সময় সরকার গঠনের সম্মতি জ্ঞাপন ও মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হওয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণের নিয়োগের অবসান ঘটানো হয়। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দান করেন। একই তারিখে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হয়। ওই মন্ত্রিসভায় ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ২ জন উপমন্ত্রী শপথ নেন। এছাড়া মন্ত্রির পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ১ জন এবং ৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও যুক্তফ্রন্ট মহাজোটগতভাবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। অন্যদিকে প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নামে নির্বাচনে অংশ নেয়। মহাজোট ২৮৮ আসনে এবং ঐক্যফ্রন্ট ৭ আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৯, জাপা ২২, জাতীয় পার্টি-জেপিসহ ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরীকরা ৯টি আসনে বিজয়ী হয়।