ভারতের কেরালা রাজ্যের শবরীমালা মন্দিরে নারীর প্রবেশ নিয়ে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) আরও এক নারী মন্দিরে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় রাজ্যের দুই পার্লামেন্ট সদস্যের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। পরে এ বোমা হামলায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়।
ভারতের কেরালা রাজ্যের শবরীমালা মন্দিরে নারী প্রবেশ নিয়ে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভের মুখে অচলাবস্থা বিরাজ করছে সেখানে। এরই মধ্যে সব বাধা অতিক্রম করে আরও এক নারী প্রবেশ করেছেন মন্দিরে। জানা যায়, মন্দিরে প্রবেশ করা ৪৬ বছর বয়সী ওই নারী শ্রীলঙ্কার নাগরিক। কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, শশীকলা নামের ওই নারীর জরায়ু অপসারণ করা হয়েছে এবং তিনি তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন।
মন্দিরে প্রবেশের পক্ষে নারীদের এই আন্দোলনে ক্ষুব্ধ ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। নতুন করে মন্দিরে নারী প্রবেশের পর শুক্রবার রাতে কেরালার কান্নুর জেলায় এক পার্লামেন্ট সদস্য বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা ছোঁড়েন বিক্ষুব্ধরা। প্রায় একই সময়ে বামপন্থী এক আইনপ্রণেতার বাড়িতেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এই দুটো ঘটনার একটিতেও হতাহতের কোন খবর মেলেনি। স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, শবরীমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপি নেতা মাধবন নেইরর একে 'ভীতুদের কর্মকাণ্ড' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মাঝরাতে চোরের মতো যে কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারে। এতে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ঐতিহ্য আর রীতিনীতির পরিবর্তন হয়ে যায় না। সংবিধান কোন ধর্মীয় রীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে না। এসময় শবরীমালাকে ঘিরে যা ঘটছে তার সবটাকেই ‘রাজনৈতিক চাল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শবরীমালা মন্দিরে ৫০ বছরের কম বয়সী নারীদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সবার জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের নির্দেশ দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। তবে রক্ষণশীল হিন্দু মতবাদীদের বিরোধিতার মুখে তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।