আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ গ্রহণ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এসময় ভিআইপি টার্মিনাল সংলগ্ন রানওয়েতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নওফেল চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া উপস্থিত রয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাও।
এর আগে অপেক্ষারত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এ প্রয়াণ দুঃখজনক, মর্মান্তিক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার রাজনৈতিক জীবন বর্তমান প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য আদর্শ। তার মধ্যে সততা নীতি এবং সব থেকে বড় বিষয় তিনি সুস্থির মস্তিস্কের অধিকারী ছিলেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একজন রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো পাঠক ও গবেষক ছিলেন। তিনি প্রচুর বই পড়তেন এবং অনেক বিষয়ের উপর জ্ঞান রাখতেন। যে কারণে তার সঙ্গে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা যেত। ব্যক্তি জীবনের থেকে সে তার রাজনৈতিক জীবনকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। তার পড়াশোনার প্রতি এ আগ্রহ এবং ব্যক্তিত্ব বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য এক শিক্ষা।
জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ রাজধানীর ২১ বেইলি রোডের বাসায় আনা হবে। রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমইচ) হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার অংশ নেবেন। এই জানাজা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা এবং বেলা ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ বাদ আসর বনানী কবরস্থানে এই নেতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।