মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক ইরাক সফর ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দুনিয়া। এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প গোপনে বাগদাদের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। তাঁর এই সফর কেন লুকিয়ে হল তার ব্যাখ্যা চেয়ে জোরালো সওয়াল করেছে ইরান সরকার। ইসলামি প্রজাতন্ত্র দেশটির পার্লামেন্ট সরব হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও ছড়াচ্ছে প্রতিক্রিয়া।
এদিকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরাক সফরের বিষয়ে বাগদাদকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তিনি গত বুধবার আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে সফর করেছিলেন। সেটি ইরাকের বিমান ঘাঁটি।
তাঁর বক্তব্যের রেশ ধরেই ইরাকি আইনসভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। পার্লামেন্টের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে দাবি রাখেন, ট্রাম্পের এই ধরনের অঘোষিত সফরের বিরুদ্ধে শক্ত জবাব দিতে ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করা হোক।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফরের আগে বাগদাদ-কে সব জানানো হয়েছিল। এই দাবি ভুয়া। তিনি বলেন, আমরা ট্রাম্পের সফরের বিষয়ে দুটি শর্ত দিয়েছিলাম। প্রথমত, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান যেভাবে প্রটোকল মেনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দেশ সফর করেন তাঁকেও সেভাবেই আসতে হবে। সফরে অবশ্যই বৈঠক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হল যে ট্রাম্প ওই ঘাঁটি ছাড়া অন্য কোথাও যাবেন না।
ইরাকে বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের ক্ষুব্ধ ইরান সরকার। দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তেহরান সতর্ক রয়েছে বলেই তিনি জানান। তিনি বলেন, ট্রাম্পের গোপন ইরাক সফর প্রমাণ করে তাদের নীতির চূড়ান্ত ব্যর্থতা। এরপর নতুন করে ইরান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের তেতে উঠতে শুরু করেছে।
ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের মেরে তাড়াতে ইরাকে অবস্থান নিয়েছে আমেরিকান সেনা। যৌথ বাহিনীর লাগাতার আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়েছে আইএস জঙ্গিরা।