যুদ্ধ বিমান ‘রাফায়েল’ ক্রয় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মোদীকে উদ্দেশ করে রাহুল বলেন, ‘২০ মিনিট সময় দিন। সাহস থাকলে আমার সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসুন। তখনই পানির মতো সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
গতকাল বুধবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তারাই এই দুর্নীতির তদন্ত করবে বলে আরও ঘোষণা দেন তিনি।
শুরু থেকে মোদীর বিরুদ্ধে রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে একের পর এক অভিযোগ ছুঁড়ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু গতকাল অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একবারও বলেনি জেসিপি তদন্ত করবে না। তাহলে সরকারের আপত্তি কোথায়?’
সংসদে রাহুল গান্ধীকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যা দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি জানান, ‘রাহুল জেনেশুনে রাফায়েল নিয়ে মিথ্যা প্রচার করেন।’
পাল্টা জবাবে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘অনবরত মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস আছে জেটলির। রাফায়েল নিয়ে তিনি যে যুক্তি খাড়া করেছেন তা ফাঁপা৷ তারা যদি রাফায়েলের দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হন তাহলে আমরা কেনো ১২৬টার বেশি যুদ্ধবিমান কিনতে পারলাম না?’
রাফায়েলকে ভালো এয়ারক্রাফটের সার্টিফিকেট দিয়েও কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, ‘অনিল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে মোদী চুক্তিতে অনেক পরিবর্তন করেছেন। হ্যালের যুদ্ধবিমান তৈরির ৭০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেও সেই সংস্থাকে বাদ দিয়ে রিলায়েন্সকে বাছাই করা হলো যাদের কখনও যুদ্ধবিমান তৈরিই করেনি।’
রাহুল এ সময় প্রশ্ন করেন, সরকারের তরফে রাফায়েল নিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুখ খুললেন না? কেন অর্থমন্ত্রীকে ময়দানে নামাল সরকার? তিনি তো রাফায়েল চুক্তি করেননি। যারা রাফায়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারাই নীরব ছিলেন।
সাংবাদিক বৈঠকে অরুণ জেটলিকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘পুরো দেশকে আপনারাই বলেছেন ৫৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে। তাহলে প্রতিটা যুদ্ধবিমানের দাম পড়ছে ১৬০০ কোটি টাকা।’