সুপার স্পোর্টস পার্কের পর নিউল্যান্ডসেও অলিভারে দিশেহারা পাকিস্তান! সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের পর কেপ টাউনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ পাকিস্তানের ১৭৭ রানের জবাবে দিনের শেষে দু’ উইকেটে ১২৩ রান তুলেছে প্রোটিয়াবাহিনী৷
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ১১টি উইকেট নিয়ে দলকে সহজ জয় এনে দিয়েছিলেন অলিভার৷ কেপ টাউনেও তাঁর আগুনে বোলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ পাক ব্যাটসম্যানরা৷ মাত্র ৪৮ রান খরচ করে তুলে নেন ৪টি উইকেট৷ সুপার স্পোর্টস পার্কে শন পোলককে টপকে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট শিকার করা ডেল স্টেইন কেপ টাউনে তুলে নেন তিন উইকেট৷ রাবাদার ঝুলিতে ২টি উইকেট৷ নিউল্যান্ডসের সবুজ পিচে অল-পেস অ্যাটাকে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা৷
এর আগে আফ্রিকা টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ১৩ রানের মধ্যে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম উল হক (৮) ও ফকর জামান (১) রানে ফিরে যান। দলীয় ১৯ রানে তৃতীয় উইকেটে হারায় তারা।
চতুর্থ উইকেটে শান মাসুদ ও আসাদ শফিক কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তুু দলীয় ৫১ রানে ফের ধাক্কা খায় পাকিস্তান। এ সময় রাবাদা মাসুদকে ২০ রানে ফেরান। পঞ্চম উইকেটে নামা বাবর আজম ২ রানে করে বিদায় নেয়।
ষষ্ঠ উইকেটে শরফরাজাকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন মাসুদ। দলীয় ১১৪ রানে এ জুটির মাসুদ ৪৪ রান করে ফিরে যান। সপ্তম উইকেটে নামা আমির ছাড়াকে নিয়ে দলকে দেড়শো রানের কোটা পাড় করান শরফরাজ।
দলীয় ১৫৬ রানে এই জুটিতে শরফরাজ দলীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রানে ফিরে গেলে আর কেউই পাকিস্তানের হয়ে প্রতিরোধ গড়েত পারেনি। শেষ দিকে আমির ২২ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে গেলেও নিচের সারির কোনো ব্যাটসম্যানই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।
রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি করেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার মার্করাম ও এলগার৷ আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দু’জনে ওভার পিছু ৫ রান করে তোলেন প্রোটিয়া ওপেনাররা৷ তবে ব্যক্তিগত ২০ রানে মোহম্মদ আমিরের বল আউট হয়ে এলগার প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন৷ তবে ৯৬ বলে ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মার্করাম৷ দিনের শেষ বলে মাসুদের বলে বোল্ড হন তিনি৷ প্যাভিলিয়ের পথে হাঁটা লাগানোর আগে দ্বিতীয় উইকেটে আমলার সঙ্গে ৬৭ রান যোগ করেন মার্করাম৷