দেশবাসীকে কিছুটা সময় ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেন, কিছুদিন পর শেখ হাসিনার জন্য ঘর সামলানো এতো দুষ্কর হয়ে যাবে যে পদত্যাগ না করেই তিনি চলে যেতে বাধ্য হতে পারেন।
বুধবার (২ জানুয়ারী) রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ বাবর রোডে তার নিজ বাসভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই বিজয় অল্প দিনের মধ্যে নিন্দার বিষয় হয়ে দাড়াবে।
যারা নির্বাচনে পরাজিত হয় বা পরাজিত করা হয় তাদের কথা বাতাসে বেশী দূরে যায় না উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, অতিরিক্ত খেলে যেমন হজম হয় না তেমনি অতিরিক্ত কারচুপির কারণে বিশ্ব আদালতে কোনভাবেই স্থান পাবে না। আর দেশের মানুষের অন্তরে তো তাদের কোনো স্থান নাই।
গত ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় পর্যবেক্ষণ ও মতামত উপস্থাপন করতে এ আয়োজন করা হয়।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিদেশ থেকে ভাড়া করে আনা পর্যবেক্ষকরা বলছেন 'নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয়েছে', কেউ কেউ বলেছেন নিবাচন খুব শান্তিপূর্ন হয়েছে। বিশ পঁচিশ জন মানুষের জীবন যাদের কাছে তুচ্ছ তারা বলতে পারেন সুষ্ঠু।
আওয়ামী লীগ আর কখনো জনগনের সমর্থন নিয়ে জয়যুক্ত হতে পারবে না। চুরি করে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারে, প্রশাসনকে কজ্জা করে ভোট ছিনতায় করতে পারে। কিন্তু সরাসরি সুষ্ঠু নিবাচনে জয়ী হতে পারবে না।
আমরা কখনো বুঝতে পারি নাই পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবাই চরিত্রহীন ও নৈতিকতাহীন হয়ে পরবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের অপমৃত্যু ঘটেছে। এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ নয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই।
বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতির অপমৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, এই নিবাচনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার দেশ আমার দেশের নির্বাচনী পদ্ধতি। তার পর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনাকে নিন্দা করলে সেই নিন্দ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উপরও পরে, সেই জন্য আমি খুবই বেদনাহত।
যখন কোনো দল বিজয়ী হয় তখন অন্য রাষ্ট্র তাদের অভিনন্দন জানায়, একটা হলো লোক দেখানো আরেকটা হলো আন্তরিক। যেভাবেই হোক যখন কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাদেরকে অন্য রাষ্ট্র তাদের অভিনন্দন জানায়।
এক প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ীদের শপথ নেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বলব কখনোই তাদের শপথ নেয়া উচিত নয়।\]
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অন্যান্য নেতাকমী উপস্থিত ছিলেন।