বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির শেষ টেস্টে সিডনিতে নেই রোহিত শর্মা। সদ্য বাবা হওয়ায় দেশে ফিরে গেছেন তিনি। তিনি অস্ট্রেলিয়া ফিরবেন ওয়ানডে সিরিজের জন্য। ৮ জানুয়ারি শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। ফলে, বৃহস্পতিবার সিডনিতে শুরু হতে চলা চতুর্থ টেস্টে ভারতের কম্বিনেশন কী হবে, তা নিয়ে চলছে চর্চা।
বিসিআইয়ের নির্বাচকরা টেস্ট স্কোয়াডে রোহিতের বদলি হিসেবে এখনো কারো নাম ঘোষণা করেনি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ রোহিতের জায়গায় আসবেন।
তবে দলে আর কোনও বিশেষজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান না থাকায় চিন্তিত্ব ভারতীয় শিবির। এছাড়া কোহলির শিবিরকে মাথায় রাখতে হচ্ছে সিডনির উইকেটের কথাও। যা স্পিন সহায়ক হওয়ারই সম্ভাবনা।
সেই চিন্তা থেকেই সিডনিতে জোড়া স্পিনার খেলাতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে দলে আসতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে ম্যাচের আগে অশ্বিন যদি ফিট না হলে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে খেলতে পারেন কুলদীপ যাদব। তাঁর বোলিংয়ের ধরন জাডেজার থেকে একেবারেই আলাদা। ফলে, দুই বাঁ-হাতি স্পিনার খেললেও আক্রমণকে একমুখী দেখাবে না।
দুই স্পিনার খেলানো নিয়েও কিছুটা দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। রোহিতের জায়গায় একজন বোলার খেললে অবশ্য ব্যাটিংয়ের গভীরতা কমতে বাধ্য। ব্যাটিংয়ের লেজও দেখাবে অনেক বড়। তাই ওপেনিং থেকে ছয় নম্বরে নামিয়ে আনা যেতে পারে হনুমা বিহারীকে। অস্থায়ী ওপেনার হিসেবে তাঁকে তেমন স্বচ্ছন্দ দেখায়নি। ঘড়োয়া ক্রিকেটে মিডল অর্ডারেই খেলেই অভ্যস্থ তিনি। তাঁকে ছয়ে নামালে অবশ্য ওপেনিংয়ে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গী খুঁজতে হবে। ফেরানো হতে পারে স্কোয়াডে থাকা দুই ওপেনার মুরলী বিজয় ও লোকেশ রাহুলের মধ্যে কোনও একজনকে। কিন্তু, দু’জনেই সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ব্যর্থ। তার জন্যই মেলবোর্নে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এমন কিছু কেউ করেননি যে ফেরাতে হবে দলে। ফলে, হনুমাকে মিডল অর্ডারে নামানোর সিদ্ধান্ত সহজ নয়।
এদিকে শেষ টেস্টে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডেকে খেলানো হতে পারে। ইশান্ত শর্মাকে বসিয়ে দলে আনা হোক হার্দিককে। দুই বিশেষজ্ঞ পেসার জশপ্রীত বুমরা ও মোহম্মদ শামির সঙ্গে তিনি তৃতীয় পেসারের অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে পারেন। সেক্ষেত্রে হার্দিক পান্ডে, ঋষভ পান্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা তখন নামবেন ছয়, সাত, আট ও নয় নম্বরে।।