ভোটের দিনসহ আগে-পরে উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উত্তরাঞ্চলের সহিংসতাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত জেলাগুলোতে গুরুত্বানুসারে বিভিন্ন সংখ্যায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বাড়তি সংখ্যায় মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড ও র্যাবের বিশেষ টিম। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মধ্যে সহিংসতা ও নাশকতায় অতীতের রেকর্ড বিবেচনায় সাত জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসনের উদ্যোগে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। শুধু নির্বাচনী এলাকাতেই নয়, এসব জেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নেয়া হচ্ছে কেন্দ্রভিত্তিক বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটের আগে ও ভোট শেষে যাতে সহিংসতা হতে না পারে সেজন্য এই সাত জেলায় শুরু হয়েছে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কঠোর নজরদারি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২৭ হাজারের বেশি পুলিশের ফোর্স দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলার সাম্প্রতিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা যাতে কোনোভাবেই গাছের গুঁড়ি নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য উত্তরাঞ্চলের সব জেলার কাঠমিল মালিকদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের মাইক ব্যবহার করে যাতে সহিংসতা ও নাশকতাকারীরা গুজব রটিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য মসজিদ কমিটিগুলোসহ দায়িত্বরত ইমামদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বৃহস্পতিবার বলেন, কিছু বিএনপি নেতা তাদের কর্মীদের ভোট কেন্দ্র ঘিরে রাখাসহ নানা ধরনের উনকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলেও তাদের সম্ভাব্য নাশকতা ও সহিংসতার বিষয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকার কথা বলছি। আশা করি প্রশাসনও সম্ভাব্য সহিংসতার বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখবে।