ভারতের প্রতিবেশি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা বিভিন্ন নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে ওই মামলার শুনানি হতে পারে।
অসমভিত্তিক ‘নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিরোধী মঞ্চ’-এর পক্ষে মামলা করেছেন অসমের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হীরেন গোঁহাই, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ ডেকা ও সাংবাদিক মঞ্জিত মোহন্ত। আইনজীবী মনীষ গোস্বামী আদালতে ওই ইস্যুতে সাফাই দেবেন।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালে বিদেশি (সংশোধনী) নির্দেশাবলী, পাসপোর্ট অধিনিয়ম ও ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছিল। ‘নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিরোধী মঞ্চ’ ওইসব বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এগুলো ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পরিপন্থি দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
কেবলমাত্র অসমের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষায় শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কেবল একটি ধারণার ভিত্তিতেই প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে চাচ্ছে। যদিও কেউ ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে এসেছে কিনা তা প্রমাণের কোনো ব্যবস্থাপনা কিংবা পদ্ধতি নেই সরকারের কাছে।
এ প্রসঙ্গে অসম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি আজ (মঙ্গলবার) রেডিও তেহরানকে বলেন,‘ ‘নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিরোধী মঞ্চ’ সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের করেছে তা একটি উচিত ও সময়সাপেক্ষ পদক্ষেপ।