জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন কথা বলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
নির্বাচন ঘিরে ৪ দিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় দিলেও দুর্গম এলাকায় ভোটের দিন সাংবাদিকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে মোটর সাইকেলে চলাচল করতে পারবেন।
এর আগে সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে পূর্বের নির্বাচনের ন্যায় নির্বিঘ্নে রাজধানীসহ সারাদেশে ইসির স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের দাবি জানান।
এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলের নেতা মো. আকতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “সাংবাদিকরা যাতে বিনা বাধায় খোলামেলাভাবে চলা ফেরা করতে পারে, তার ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি।”
তারপর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন ভবনে ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি’ এর সদস্য ও গণমাধ্যকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এলে সাংবাদিকরা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান।
তখন ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে জেলা পর্যায়ে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটর সাইকেল ব্যবহারের অনুমতি নিতে হবে।
তবে তিনি জানান, মহানগর ও শহর এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে হেলালুদ্দীন বলেন, “মোটর সাইকেল ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হওয়ার শঙ্কা থেকে তা ভোটের সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত।”
রাজধানীসহ সারাদেশেই সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল ব্যবহারের অনুমতির দাবি জানান সাংবাদিকরা।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন সচিব।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনকালীন সময়ে যানবাহন চলাচলের ওপর নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। প্রজ্ঞাপনে ২৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।