ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থানরত হোটেলে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা এলাকার ‘শামীম গেস্ট হাউজে’ এ হামলার ঘটনা ঘটে।
যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিবেদক সুশান্ত সিনহা জানান, হামলায় অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ও গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক জুয়েল আহত হয়েছেন। এ ছাড়া হোটেলের নিচে থাকা গণমাধ্যমের ১৮টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হোটেলে অবস্থানরত সাংবাদিকদের প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী শামীম খান। তিনি হোটেলেই ছিলেন এবং হামলাকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
সুশান্ত সিনহা বলেন, ‘অতর্কিত ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের হোটেলে হামলা চালায়। আমরা থানা নির্বাহী অফিসার, পুলিশের ওসিকে জানালেও কোনো ধরনের সাড়া পাইনি। গণমাধ্যমকর্মীরাই যদি এভাবে আক্রান্ত হন, তাহলে এখানে সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়?’
এ বিষয়ে ঢাকার পুলিশ সুপার মিজান শাফিউর রহমান বলেন, ‘হামলার ঘটনা ঘটেছে এটা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দোষী যেই হোক গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।’
সাংবাদিক শিপন হাবীব জানান, এটা কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। হামলাকারীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিন বলেন, সকালে পুলিশ সুপারের কাছে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা জানিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, যে গেস্ট হাউসে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে নবাবগঞ্জ থানার দূরুত্ব সামান্যই। থানার এত কাছাকাছি সন্ত্রাসীরা হামলা করে যাওয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে অনেক সময় নিয়েছে। এ ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেটা ঘটেছে সেটা কারো কাম্য নয়। কোনোভাবে যাতে শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।