Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতে হিজাব পড়ায় পরীক্ষা দিতে পারলো না শিক্ষার্থী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৮ PM
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:২৬ PM

bdmorning Image Preview


হিজাব পরায় ভারতে আবারও এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি। সম্প্রতি দিল্লিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। আনন্দবাজার জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর নাম উমাইয়া খান। তিনি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ছেন।

এর আগে গোয়াতেও হিজাব পরার কারণে এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আনন্দবাজার জানায়, গত সপ্তাহে নেট পরীক্ষা ছিল তার। পরীক্ষার সিট পড়ে দিল্লির রোহিণী এলাকায়। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছান উমাইয়া। কিন্তু পরীক্ষকদের বাধার মুখে কক্ষে ঢুকতে পারেননি তিনি।

ওই ছাত্রীর দাবি, পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা পুরুষ ও নারী পর্যবেক্ষকরা তাকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেন। কেন তাকে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না এই প্রশ্ন করলে পর্যবেক্ষকরা জানান, হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেয়া যাবে না। পরীক্ষায় বসতে হলে হিজাব খুলে ফেলতে হবে।

এ সম্পর্কে উমাইয়া বলেন, পরীক্ষকদের বার বার বলেছি এটা আমার ধর্মীয় ব্যাপার, হিজাব খুলতে পারব না। তাদের অনুরোধ করি পরীক্ষায় বসতে দেয়ার জন্য। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেননি।

পরীক্ষায় বসতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসেন উমাইয়া। এরপর ইউজিসি-কে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি মেইল করেন। যদি ইউজিসি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আইনের সাহায্যও নেবেন বলে জানিয়েছেন উমাইয়া।

হিজাব পরার জন্য বোনকে পরীক্ষায় বসতে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উমাইয়ার ভাই মহম্মদ জাহিদ আফজাল। তিনি বলেন, এটা শুধু উমাইয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছে এমনটা নয়, আরও অনেক মুসলিম মেয়ের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। উচ্চশিক্ষার দিক থেকে মুসলিমরা যেখানে পিছিয়ে, এমন সুযোগ পাওয়ার পরেও তাদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

এদিকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিরুল হাসান আনসারি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শিক্ষা ছাত্রছাত্রীদের অধিকার। কোনও বিশেষ ধর্মের বলে ছাত্রছাত্রীদের সেই অধিকার কেড়ে নেয়া যায় না।

Bootstrap Image Preview