ঢাকা-৬ আসনের মহাজোট প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদকে ভোটারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিরোজ রশিদ আগে ছাত্রলীগ করতেন। এখন চলে গেছেন এরশাদ সাহেবের সঙ্গে। কোনো অসুবিধা নেই, ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিরোজ রশিদ যদিও আগে ছাত্রলীগ করেছিলেন এখন করেন জাতীয় পার্টি। চলে গেছেন এরশাদ সাহেবের সঙ্গে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবেই লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিনি এখন নির্বাচন করছেন। ছিলেন নৌকা মার্কায়, গেছেন লাঙ্গল মার্কায়। কোনো অসুবিধা নেই-ভবিষতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব। তবে এখন আমরা কাজী ফিরোজ রশিদের জন্য লাঙ্গল মার্কায় ভোট চাইছি।
উন্নয়নের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছি। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখেতে নৌকা মার্কায় ভোটে দিয়ে আবারও দেশবাসীর সেবা করার সুযোগ করে দেবেন।
বিএনপির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আসে মানুষের উন্নয়ন করতে আর বিএনপি ক্ষমতায় এলেই শুরু হয় দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার। তারা খুন, লুট, জালাও-পোড়াও নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়, কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাস আর লুটপাট ছাড়া কিছুই দিতে পারে না। তাই দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভায় রাজধানীর আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ওযাকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকন, মহাজোটের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী, আবু হোসেন বাবলা, কাজী ফিরোজ রশিদ, হাজী সেলিম, হাবিবুর রহমান মোল্লা, যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার, সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট, ছাত্রলীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ প্রমুখ।