Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী যেকোনো ভূমিকা পালন করবে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:০৬ PM
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:০৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


নির্বাচনি মাঠে সেনাবাহিনী রয়েছে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘আমি মনে করি যে অল্প কিছু অরাজকতা ছিল তা এখন দূর হবে। সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে যেকোনো ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে। এই বিষয়ে আইন আছে, সে অনুসারে তারা কাজ করবে।’

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত চলমান ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে সিইসি গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভোটের আস্থা ফিরে আসবে। এ উদ্দেশেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও অনুরোধ জানাব, হাঙ্গামা সহিংসতা অন্তঃকোন্দল দূর করে শুধু দলীয় প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে।’

বিএনপিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে আমার চেয়ে ডিএমপি ভালো জানে। তাদের সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। শিগগিরই তাদের সঙ্গে কথা বলব।’

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো সশস্ত্র বাহিনীতে জুডিশিয়াল পাওয়ারসহ ভোটের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। এ দাবির মধ্যে এই বাহিনীকে ফৌজদারী কার্যবিধির (সিআরপিসি) ২৭ থেকে ৩২ ধারা অনুযায়ী আজ থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োজিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিম কাজ করবে। তবে ম্যাজিস্ট্রেট সাথে না থাকলে কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটে সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সশস্ত্র বাহিনী সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। ১ লাখ ২০ হাজারের মতো ফোর্স থাকছে এ বাহিনীর। উপজেলায় থেকে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে তারা।

দশম সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য ১৫ দিনের জন্য ভোটের আগে-পরে নিয়োজিত ছিল। এবার ভোটের মাঠে বিভিন্ন বাহিনীর ৮ লাখ ফোর্স এবং ৪ হাজারের বেশি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

Bootstrap Image Preview